1) সজীব বস্তুদের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তরঃ পৃথিবীতে আনুমানিক প্রায় ৫ -৩০ মিলিয়ন জীবিত প্রজাতি বর্তমান রয়েছে। বিভিন্ন জীবের এরূপ বৈচিত্রের জন্যে তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে শ্রেণীবিভাগ করার প্রয়োজন রয়েছে যাতে আমরা সহজেই তাদের উৎপত্তি, বৈচিত্র, বিন্যাস এবং তাদের আন্তঃসম্পর্ককে অধ্যয়ন করতে পারি। শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবকে পারস্পরিক মিল ও অমিলের ভিত্তিতে বিভিন্ন জীবকে ট্যাক্সনমিক হায়ারার্কিতে স্থাপন করা হয়।

2) সময় সময় শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির পরিবর্তন হয় কেন?

উত্তরঃ সময় সময় শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতির পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। প্রথম দিকে লিনিয়াস এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা সমগ্র জীবজগতকে দুটি রাজ্যে (Plantae ও Animalia) ভাগ করেন। কিন্তু এই দুই রাজ্য (two kingdom) শ্রেণীবিভাগে প্রোক্যারিওটদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বিজ্ঞানী হ্যাকেল তিন রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস প্রবর্তন করেন। পরবর্তী সময়ে R.H. Whittaker তিন রাজ্য শ্রেণীবিন্যাসের অসুমপূর্ণতার জন্য পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাসের প্রবর্তন করেন। তাছাড়া প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রজাতি আবিস্কৃত হচ্ছে তাই সময় সময় শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতির পরিবর্তন করা প্রয়োজন।


3) তোমার সঙ্গে প্রায়ই সাক্ষাৎ হয় এমন মানুষদের শ্রেণিবিন্যাস করতে গিয়ে বিভিন্ন মানদন্ড হিসাবে তুমি কী কী বেছে নেবে?

উত্তরঃ  প্রায়ই সাক্ষাৎ হয় এমন মানুষদের শ্রেণিবিন্যাস করতে গিয়ে বিভিন্ন মানদন্ড হিসবে নিম্নোক্ত গুলোকে বেছে নিতে হবে,

i) শনাক্তকরণ (Identification):

ii) নামকরণ (Nomenclature):

iii) শ্রেণীবিন্যাস (Classification):

i) শনাক্তকরণ (Identification): বিশেষ বৈশিষ্টের দ্বারা জীবদের একে অপরের থেকে আলাদা করার পদ্ধতিই হল শনাক্তকরণ।

ii) নামকরণ (Nomenclature): জীবের সঠিক সঠিক শনাক্তকরণের পর তার নামকরণ করা হয়। বিজ্ঞানী লিনিয়াস প্রবর্তিত দ্বিপদ নামকরণই এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এরকম নাম গণ (Genus) ও প্রজাতি (Species) নামক দুটি পদের সাহায্যে গঠিত।

iii) শ্রেণীবিন্যাস (Classification):  জীবের শনাক্তকরণ ও নামকরণের পর তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ করা হয়। জীবের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করার পদ্ধতিকেই শ্রেণীবিন্যাস বলা হয়।

4) কোনো একক জীব বা জীবগোষ্ঠীকে শনাক্তকরণের মাধ্যমে আমরা কী জানতে পারি?

উত্তরঃ 

5) নীচে আমের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া আছে। সঠিকভাবে লেখা নামটি শনাক্ত কর:

Mangifera Indica

Mangifera indica

উত্তরঃ Mangifera indica

6) 'ট্যাক্সন' এর সংজ্ঞা লিখো। হায়ারার্কির বিভিন্ন স্তরে উপস্থিত, কিছু ট্যাক্সা-এর কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ  যে শ্রেণীবিন্যাস কাঠামোতে নীচের স্তরের কয়েকটি জীব গোষ্ঠীকে উপরের স্তরের একটি জীব গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে হায়ারার্কিয়াল শ্রেণীবিন্যাস বলা হয়। হায়ারার্কির প্রত্যেকটি ধাপ কে ট্যাক্সন (taxon) বলা হয়। জীবের পারস্পরিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে এক একটি ট্যাক্সনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।1956 খ্রিস্টাব্দে ICBN প্রথম ট্যাক্সন শব্দটি ব্যবহার করে। ট্যাক্সনের বিভিন্ন উদাহরণগুলি যথা, রাজ্য (Kingdom), বর্গ (Order), গোত্র (Family) ইত্যাদি।

7) তুমি কি বিন্যাসবিধির সঠিক সজ্জাক্রম শনাক্ত করতে পারবে?

ক) প্রজাতি(species) বর্গ(order) পর্ব(phylum)রাজ্য(kingdom)

খ) গণ প্রজাতি বর্গ রাজ্য

গ) প্রজাতি গণ বর্গ পর্ব

উত্তরঃ

8) সাম্প্রতিককালে গৃহীত 'প্রজাতি' শব্দটির সবগুলো অর্থ সংগ্রহ করার চেষ্টা কর। এবার তোমার শিক্ষক মহাশয়ের সাথে একদিকে উন্নত প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এবং অপরদিকে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে 'প্রজাতি' শব্দটির অর্থ কী হবে তা আলোচনা কর।

উত্তরঃ প্রজাতিতে সংজ্ঞা কী হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। বিজ্ঞানী Mayr,1942 উনার জৈব প্রজাতি মতবাদে প্রজাতির যে  সংজ্ঞা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে "প্রজাতি হল এমন এক জীবগোষ্ঠী (population) যা অন্য আর এক  জীবগোষ্ঠী থেকে জননগত ভাবে আলাদা"। 

 প্রজাতির এই সংজ্ঞাটি যৌন জননকারী উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও, যেহেতু বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া অযৌন জননকারী (যৌন জনন দেখা গেলেও তা অত্যন্ত নিম্ন প্রকৃতির) এই সংজ্ঞা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে  না। তাই বলা যায় উন্নত প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এবং অপরদিকে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে 'প্রজাতি' শব্দটির অর্থের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। 

9) নীচের পরিভাষাগুলোর সংজ্ঞা লিখো এবং এদের বুঝতে চেষ্টা করো।
i) পর্ব (Phylum) ii)শ্রেনি (Class) iii) গোত্র (Family) iv) বর্গ (Order) v) গণ (Genus)

উত্তরঃ

10) একটি জীবের শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাসকরণের ক্ষেত্রে একটি ট্যাক্সনমিক কী (Key) কিভাবে সাহায্য করে?

উত্তরঃ

11) একটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে ট্যাক্সনমিকাল হায়ারার্কির সম্পর্কে বিশদ আলোচনা কর।

উত্তরঃ